গাছে সার ব্যবহার

অতিরিক্ত সার ব্যবহারের অপকারিতা ও সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে সার ব্যবহার

যেকোনো ফসল চাষে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশজাতীয় সারই বেশি ব্যবহার করা হয়। ইদানীং অনেকে জমির মাটি পরীক্ষা ছাড়া চুনও ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া বাড়িতে তৈরী ছত্রাকনাশক হিসেবে কপারজাতীয় ছত্রাকনাশ বোর্দো মিশ্রণও ব্যবহার করছেন। জিঙ্ক সার হিসেবে সস্তায় পাওয়া যায় বলে দস্তা সারের অহেতুক ব্যবহারও কম নয়। পরিমাণের চেয়ে বেশি হলে বা ব্যবহারের প্রয়োজন না হলে যেকোনো রাসায়নিক সার মাটির ক্ষতি করতে পারে। তাই মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের অবস্খা বুঝে সার ব্যবহার করা উচিত। আবার এক ফসলে সার ব্যবহারের পরের ফসলে সার কম লাগে বা না দিলেও চলে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা দরকার। জমিতে একবার চুন ব্যবহারের পর পরের এক বছর চুন ব্যবহার করতে হয় না। গাছের সমস্যার কারণে কপারজাতীয় ছত্রাকনাশক ব্যবহারের আগে মাটিতে তার অবস্খা জেনে ব্যবহার করা ভালো। প্রয়োজন হলে এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে, যাতে ব্যবহারের পর মাটিতে না মেশে। অর্থাৎ সার ব্যবহারের সময় লক্ষ্য রাখা দরকার, কোনোভাবেই যেন তা মাটিতে অতিরিক্ত জমা না হয়। কারণ মাটিতে সারের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, গাছ তার জন্য বিশেষভাবে দরকারী সারের উপাদানগুলোর স্বাভাবিক গ্রহণক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

নাইট্রোজেন সার অতিরিক্ত ব্যবহারে যেসব সমস্যা হয়: অতিরিক্ত নাইট্রোজেন সার ব্যবহারে সাধারণত গাছের কোষপ্রাচীর পাতলা হওয়ায় কাঠামোগত শক্তি কমে যায়। গাছের কাণ্ড স্বাভাবিকের চেয়ে লম্বা ও নরম হয় এবং কাণ্ডের চেয়ে পাতা বেশি ভারী হয়। ফলে গাছ সহজেই হেলে পড়ে। এ অবস্খায় গাছের প্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়ায় রোগ ও পোকামাকড় সহজেই আক্রমণ করতে পারে। পাতার রঙ কালচে সবুজ হয়ে যায়। পাটের আঁশের মান কমে যায়। নাইট্রোজেন বেশি হওয়ার সাথে সাথে ফসফরাস ও পটাশিয়াম কম থাকলে ফুলের বৃদ্ধি কমে যায়, দানাজাতীয় ফসলের পুষ্ট হতে সময় বেশি লাগে। টমেটোর ফলন কমে যায়, সুগারবিটের চিনির পরিমাণ কমে যায়। আলুতে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফসলের শিকড়ের বৃদ্ধি কম হতে পারে এবং ফসলও অনিয়মিতভাবে পাকতে পারে।

নাইট্রোজেনজাতীয় সার বেশি ব্যবহারে মাটিতে বোরণ, জিঙ্ক ও কপারের ঘাটতি হয়। মাটিতে বোরণের ঘাটতি হলে ধানের সবচেয়ে কচি পাতা ও তার পরের পাতায় সাদা সাদা দাগ পড়ে। দাগগুলো একত্রে মিশে বড় আকার ধারণ করে শুকিয়ে যায়। নতুন পাতা বের হয় না। এতে ধান গাছ খাটো হয়ে যায়। গমের পাতায় হলুদাভ দাগ দেখা দেয় এবং গমের শীষ পুরোপুরি বের হয় না। শীষে যেসব দানা হয় সেগুলো ঠিকমত পুষ্ট হয় না। চিটার ভাগ বেশি হয়। ভুট্টার পাতার শিরার মাঝের অংশে সাদা সাদা দাগ দেখা যায়, যা পরে শুকিয়ে পত্রফলক ফেটে যায়। পাটের পাতা বিকৃত হয়। বোরণের ঘাটতি হলে ফুলকপির চারার পাতা বেশ পুরু হয়ে যায়। চারা বেঁটে হয়। ফল বা কার্ডে ভেজা ভেজা দাগ পড়ে। দাগগুলো পরে পচে যায়। ফুলের নিচের কাণ্ডে ভেতরের অংশে ফাঁপা দেখা যায়।

বোরণের ঘাটতি হলে মূলা ও গাজর বড় হয় না। কিছুটা বড় হলেও ফেটে যায়। শিম ও বরবটির পাতা গাঢ় সবুজ ও ভঙ্গুর হয়। ফুল দেরিতে আসে ও শুঁটিতে বীজ হয় না। কিছু বীজ হলেও সেগুলো বড় হয় না বা পুষ্ট হয় না। আলুর খোসা খসখসে হয় ও গায়ে ফাটল দেখা যায়। বেগুন ও টমেটো ফল কুঁকচে যায় এবং ফল ফেটে যায়। বোরণের ঘাটতি হলে পিঁয়াজের পাতা শুকিয়ে নিচের দিকে গুটিয়ে গোল হয়ে যায়। বাঁধাকপির পাতা চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে, ভেতরের দিকে গুটানো স্বভাব নষ্ট হয়ে যায়। একটির ওপর আরেকটি বাঁধে না। সরিষার ফুল ও শুঁটির গঠন ঠিকমতো হয় না। দানাও পুষ্ট হয় না।

বোরণের ঘাটতি হলে নারকেলের ফুল ও কড়ি ঝরে যায়। বোঁটার কাছাকাছি কালো হয়ে চুপসে যায় ও ফেটে যায়। কচি আম ফেটে যায়। কখনো কখনো পরিপক্ব হওয়ায় আগে আগে বড় আকারের আম ফেটে যায়। পেঁপের ফলের বিকৃতি দেখা দেয়। পেঁপের ফল আঁকাবাঁকা হয়ে যায় বা কুঁচকে যায়।

মাটিতে জিঙ্কের অভাব হলে ধানগাছের কচি পাতা সাদা হয়ে যায়। ধানগাছের অন্য পাতা হলুদাভ ও পাতার আগার দিকে বাদামি রঙের দাগ দেখা দিতে শুরু করে। অভাব তীব্র হলে পুরাতন পাতায় মরিচা পড়ার মতো দাগ দেখা যায়। পুরো ক্ষেত মরিচা পড়া বাদামি রঙের মতো হয়ে যায়। ক্ষেতে কোথাও ধানের চারা বড় হয়, আবার কোথাও ছোট হয়। ধানের পাতার আকার ছোট হয়। পুরোনো পাতার কিনারা শুকিয়ে যায়। গমগাছের পাতায় বাদামি রঙের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। ফলগাছে ফুল দেরিতে আসে, ফলও দেরিতে ধরে।

কপারের অভাবে কচিপাতা প্রথমে বিবর্ণ হয়। পরে পাতার কিনারা বরাবর হলুদ হয়ে যায়। কাণ্ডের ডগা শুকিয়ে যায়। কাঠজাতীয় গাছে হলে সেটি হয় আগামরা রোগের লক্ষণ। দানাজাতীয় শস্যে এর তীব্র অভাব হলে শিকড়ের বৃদ্ধি কমে যায়। ফুল আসার আগে গাছ শুকিয়ে বা মরে যেতে থাকে। গম ফসলের নতুন পাতায় পাণ্ডু রোগ হয়। পাতার কিনারা বরাবর রঙ হলুদাভ হতে শুরু করে। কুশিও কম হয়। চারা অবস্খায় ভুট্টার পাতার আগা হলুদ হয়ে যায়। পরে গাছে আগামরা রোগ দেখা দেয়। আলুগাছ বেঁটে হয়ে যায় এবং গাছ গাঢ় সবুজ রঙ ধারণ করে। টমেটোগাছ বেঁটে হয়, পাতা ছোট হয়, ফুল ঝরে পড়ে এবং ফলও কম ধরে। লেবুগাছের চামড়া বা ছালের নিচে আঠার মতো থলি তৈরি হয় এবং ফল ফেটে যায়।

ফসফেট সারের অতিরিক্ত ব্যবহার : ফসফরাস জাতীয় সার বেশি ব্যবহারে ফসলের আগাম পরিপক্বতা দেখা যায়। অম্ল মাটিতে ফসফেট আটকে গিয়ে গাছের পুরোপুরি কোনো কাজে আসে না। ফসফরাস সার অতিরিক্ত হলে অন্যান্য সার বিশেষ করে নাইট্রোজেন আনুপাতিক হারে বাড়াতে হয়, না হলে বীজ উৎপাদনে অসুবিধা হয়। ফসফরাস জাতীয় সার বেশি ব্যবহারে মাটিতে জিঙ্ক, আয়রন, কপার ও ম্যাঙ্গানিজের অভাব দেখা দেয়। মাটিতে আয়রনের ঘাটতি হলে ধানগাছের পাতার রঙ হলুদাভ বা সাদাটে হয়ে যায়। ধানের বীজতলার চারার নতুন পাতা হলদেটে হয়ে যায়। অভাব তীব্র হলে পাতাগুলো হলদেটে থেকে হলুদ-সাদা এমনকি পুরোটাই সাদা হয়ে যেতে পারে। টমেটোগাছের পাতার দুই শিরার মাঝের স্খানের সবুজ কণিকা নষ্ট হয়ে সাদা হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও কাণ্ডের আগা হলুদ ও সবুজ হয় ও ডগার বৃদ্ধি বìধ হয়ে যায়। ফসলের ফল ও বীজ সংখ্যায় কম উৎপাদিত হয়। ফলে গাছের পাতায় লালচে বাদামি দাগ দেখা যায়। সরিষাজাতীয় গাছের কচি পাতার সবুজ অংশ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পুরনো পাতা সবুজই থাকে। সয়াবিনের পাতা ছোট হয় এবং স্বাভাবিক রঙ হারিয়ে হালকা সাদা রঙ ধারণ করে।

ম্যাঙ্গানিজের অভাবে পাতার রঙ জ্বলে যায়। পাতা হলুদ বা বাদামি রঙের হয়ে যায়। ধানগাছের পাতার আগার দিক থেকে দু’শিরার মাঝখানে বিবর্ণতা শুরু হয়। পরে এগুলো ধীরে ধীরে বাদামি হয়ে যায়। নতুন পাতা হালকা সবুজ হয় এবং খাটো ও সরু হয়। গমের পাতা বিবর্ণ হয়ে যায়। আখে হলুদ বা লালচে রেখার দাগ দেখা যায়। আলুগাছ বেঁটে হয় এবং কখনো কখনো পাতা হলুদাভ হতে পারে। পাতার আগার দিক সাধারণত গাঢ় সবুজ দেখায়। ফলে গাছের পুরনো পাতার আন্ত:শিরায় বাদামি বা লালচে ফুটকির মতো দেখা যায়। সাধারণত পাতার কিনারার দিকে বাদামি দাগ শুরু হয় ও পরে ভেতরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। শিমের পুরো পাতা হলুদ হয়ে যায়, তবে শিরা সবুজ থাকে। একে মোজাইক রোগ বললে ভুল হতে পারে।

বোর্দো মিশ্রণ অতিরিক্ত ব্যবহারে : জমিতে অতিরিক্ত বোর্দো মিশ্রণ ব্যবহার করলে গাছের শিকড়ের বেশি ক্ষতি হয়। কারণ কপার গাছের মাটির ওপরের অংশের চেয়ে নিচের অংশেই বেশি জমা হয়। অতিরিক্ত কপারের কারণে গাছের প্রধান শিকড় ও শাখা শিকড়ের বৃদ্ধি হয় না। শাখা শিকড় মোটা ও অস্বাভাবিক গাঢ় রঙের হয়ে যায়। পাতার সবুজ অংশ নষ্ট হয়ে যায়। পোলট্রি সার ও শহরের বর্জ্য থেকে তৈরি জৈবসারে সাধারণত বেশি কপার থাকে, এগুলো ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হয়। মাটিতে অতিরিক্ত কপারের উপস্খিতি গাছের জিঙ্ক শোষণ বা গ্রহণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় বা একেবারে বìধ করে দেয়। ফলজাতীয় গাছে জিঙ্কের অভাব হলে অনেক সময়ই ফল পাকতে দেরি হয়।

মাটিতে অতিরিক্ত কপারের উপস্খিতিতে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। গাছে প্রয়োজনীয় আয়রনের পরিমাণ কমে গিয়ে পাতার সবুজ কণিকা তৈরি বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে গাছের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া প্রায় বìধ হয়ে যায়। শিমজাতীয় গাছের বাতাস থেকে নাইট্রোজেন আবদ্ধ করার কাজে বিঘí সৃষ্টি হয়। শিকড়ে নডিউল কম উৎপন্ন হয়। আয়রন ও কপারের অতিরিক্ত ব্যবহারে যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তা চুনজাতীয় সার ব্যবহারে কমাতে সাহায্য করে।

চুনের অতিরিক্ত ব্যবহারে : অম্ল মাটিতে চুন বেশি ব্যবহার করলে মাটিতে থাকা জিঙ্ক, বোরন ও ম্যাঙ্গানিজের সহজলভ্যতা বেড়ে যায়। চুন বেশি ব্যবহার করলে মাটিতে জিঙ্ক, বোরন, আয়রন ও কপারের অভাবও হতে পারে ।
লেখক: খোন্দকার মো: মেসবাহুল ইসলাম

সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে সার ব্যবহার

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষির ওপর নির্ভর করে এদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো দাঁড়িয়ে রয়েছে।ভৌগোলিকভাবে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার কারণে এখানকার জমি অত্যন্ত উর্বর। পলিমিশ্রিত এঁটেল, এঁটেল-দোঁয়াশ মাটির কারণে এখানে যে কোনো ফসল ভালো হয়। অন্যদিকে বেশি ফসল ফলার প্রধান কারণ অসংখ্য নদী। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এখানে ফসল উৎপাদনে নানা রকমের বিচ্ছেদ ঘটছে। প্রাকৃতিক সারের পরিবর্তে রাসায়নিক সার, সাধারণ কীটনাশকের পরিবর্তে বিদেশি কীটনাশক এমনকি বিদেশি সারও ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ একসময় কেবল প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করে এদেশের কৃষক ফসল উৎপাদন করত। মানুষের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে কৃষকে তার জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করতে হচ্ছে। আর এজন্য অধিক মাত্রায় সার ব্যবহার করতে হচ্ছে। অনেক সার ব্যবহারে কোনো নিয়মনীতি মানা হয় না। গাছের পুষ্টি, বংশবিস্তার, ফুল, ফলধারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিসহ মাটিকে সুস্থ এবং উর্বর রাখতে হলে সুষম ও পরিমিত উপায়ে সার ব্যবহার করতে হবে। কারণ অপরিমিত উপায়ে ও মাটি পরীক্ষা না করে সার ব্যবহার করলে উৎপাদন কম হয়। এতে কৃষকদের খরচের পরিমাণও বেড়ে যায়।

ফসল উৎপাদনের জন্য এদেশের কৃষক মূলত নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ইউরিয়া, ফসফেট জাতীয় সার ব্যবহার করেন। তবে সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে সার ব্যবহার করতে হলে কৃষক বছরের কোন সময় ফসলের বীজ বপন করবে তা ঠিক করা জরুরি। জমি তৈরির আগে জমির উর্বরতা পরীক্ষা করতে হবে। কেননা, নাইট্রোজেন জাতীয় রাসায়নিক সার দ্রুত পানিতে মিশে যায়, এমনকি প্রায় ৭০ শতাংশ সার পানির সঙ্গে মিশে পরিবেশকে দূষিত করে। একইভাবে প্রায় ২০ শতাংশ ইউরিয়া অপচয় হয়। এসব অপচয় রোধ করতে কৃষককে অবশ্যই সার ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। রাসায়নিক সার কোনো বীজ, নতুন শিকড় ও লতাজাতীয় গাছের কাণ্ডের খুব কাছাকাছি বা কোনো ভিজা কচি পাতার ওপর ব্যবহার করা উচিত নয়। ঘনীভূত লবণ বিধায় এগুলো গাছের নাজুক সব বাড়ন্ত অংশকে পুড়িয়ে দিতে পারে। ধান, গম, পাট, সরিষা, ভুট্টা ফসলে ইউরিয়া সার ছিটিয়ে রাখলে অর্ধেকও গাছের কাজে লাগে না। ইউরিয়া সার বেশি দাঁড়ানো পানিতে দেওয়া ঠিক নয়। বোরো ধানের বেলায় ১ গ্রাম ওজনের ৩টি এবং রোপা আমনের ক্ষেত্রে ২টি গুটি ইউরিয়া পুঁততে হয়। চারা রোপণের ৫-৭ দিন পর দু’সারির কাছাকাছি চারা গোছার মাছখানে গুটি ইউরিয়া দিতে হবে। ফসফেট সার জমি তৈরি শেষ হওয়ার দুই-একদিন আগে দিতে হবে। জমি তৈরি শেষ হলে চাষে পটাশ, গন্ধক ও জিংকজাতীয় সার দিতে হবে। সুষম মাত্রায় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম সার ব্যবহারের ওপর ফসল বিশেষভাবে নির্ভরশীল। এ জন্য সার প্রয়োগে নিয়ম মানলে কৃষক সহজে সাশ্রয়ী হতে পারে। তাহলে জমি পরীক্ষা করে নিলে তুলনামূলক কম সার ব্যবহারে অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।
এগ্রোবাংলা ডটকম
সুলভে কৃষি পন্য ক্রয়ে আস্থা রাখুন বাংলাদেশের প্রথম কৃষি ভিত্তিক ইকমার্স ‘এগ্রোবাংলা শপ’ এ।